সমাজবিদ্যায় পিতৃতন্ত্র হচ্ছে একটি সামাজিক ব্যবস্থা যেখানে পুরুষেরা প্রাথমিক ক্ষমতা ধারণ করে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নৈতিক কর্তৃত্ব, সামাজিক সুবিধা ও সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য স্থাপন করে, পরিবারের ক্ষেত্রে পিতা ও পিতৃতুল্যগণ নারী ও শিশুর উপর কর্তৃত্ব লাভ করে।
পিতৃতন্ত্র হল একটি সামাজিক ব্যবস্থা যেখানে আধিপত্য এবং বিশেষাধিকারের অবস্থানগুলি প্রাথমিকভাবে পুরুষদের দ্বারা অধিষ্ঠিত হয়। এটি পিতা বা জ্যেষ্ঠ পুরুষ বা পুরুষদের গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পরিবার বা গোষ্ঠীর জন্য একটি প্রযুক্তিগত নৃতাত্ত্বিক শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং নারীবাদী তত্ত্বে যেখানে এটি বিস্তৃত সামাজিক কাঠামো বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যেখানে পুরুষরা নারী ও শিশুদের উপর আধিপত্য। এই তত্ত্বগুলিতে এটি প্রায়শই বিভিন্ন প্রকাশের মধ্যে প্রসারিত হয় যেখানে পুরুষদের অন্যদের উপর সামাজিক বিশেষাধিকার রয়েছে যা শোষণ বা নিপীড়ন সৃষ্টি করে, যেমন নৈতিক কর্তৃত্বের পুরুষ আধিপত্য এবং সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।
পিতৃতন্ত্র হল পিতৃতান্ত্রিক মতাদর্শ গঠনকারী বিভিন্ন ধারণার সাথে যুক্ত যা এটিকে ব্যাখ্যা এবং ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য কাজ করে এবং এটিকে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সহজাত প্রাকৃতিক পার্থক্য, ঐশ্বরিক আদেশ বা অন্যান্য নির্দিষ্ট কাঠামোর জন্য দায়ী করে। পিতৃতন্ত্র একটি সামাজিক পণ্য নাকি লিঙ্গের মধ্যে সহজাত পার্থক্যের ফলাফল তা নিয়ে সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মতামত পোষণ করেন। সমাজবিজ্ঞানীরা মানুষের লিঙ্গ ভূমিকাকে অন্যান্য প্রাইমেটদের মধ্যে যৌন আচরণের সাথে তুলনা করেন এবং কেউ কেউ যুক্তি দেন যে লিঙ্গ বৈষম্য প্রাথমিকভাবে পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে জেনেটিক এবং প্রজননগত পার্থক্য থেকে আসে। সামাজিক নির্মাণবাদীরা এই যুক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যুক্তি দেন যে লিঙ্গ ভূমিকা এবং লিঙ্গ বৈষম্য ক্ষমতার উপকরণ এবং নারীর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য সামাজিক নিয়ম হয়ে উঠেছে।
ঐতিহাসিকভাবে, পিতৃতন্ত্র বিভিন্ন সংস্কৃতির একটি পরিসরের সামাজিক, আইনি, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক সংগঠনে নিজেকে প্রকাশ করেছে। বেশিরভাগ সমসাময়িক সমাজ বাস্তবে পুরুষতান্ত্রিক।